গল্প : বেস্টফ্রেন্ড যখন হাজবেন্ড
পর্ব : শেষ
--ছাড়তো পাজি বজ্জাত একটা বলেই দৌড় দিলো
-- আর ছাড়বোনা বুঝলেন। ছাড়ার জন্য আপনাকে ধরিনি রক্ত মাংস চিবিয়ে খাবো বলে ধরেছি বলেই চিল্লায়ে বললাম।
--হ্যা হ্যা দেখা যাবে ( মায়া)
-- মায়া শোন আমি একটু বাইরে যাচ্ছি কাজ আছে।
--হুম তারাতারি ফিরিস কিন্তু।
--কপালে একটা চুমু দিয়ে তারাতারি ফিরবো রে পাগলি।
-- আম্মু আজ আমি রান্না করবো (মায়া)
--তুই কি রান্না করবি?? কতোবার আমাদের বাড়িতে এসেছিস কোনোদিন তো শুনিনি যে রান্না করতে পারিস (রাসেলের আম্মু)
--পারি একটু আধটু আর তুমি তো আছোই শিখিয়ে দিবে।
--আচ্ছা বল কি রান্না করবি,?? আমার ছেলের জন্য করা হচ্ছে তাইনা??
--একটু লজ্জা পেয়ে না আম্মু তুমি যে কি বলোনা। সবার জন্যই।
-- হাহাহা।
--আম্মু আজ বিরিয়ানি রান্না করবো। আর গরুর মাংস ভুনা।
--আচ্ছা চল। কিচেন রুমে গিয়ে আম্মু সব শিখিয়ে দিলো আমি অনেক আগ্রহে রান্না করলাম। রাসেলের খুব প্রিয়।
সব কাজ শেষ করে নিলাম। ফ্রেস হয়ে একটা পিংক কালারের শাড়ি পরলাম। ঠোটে হালকা লিপিষ্টিক,, ছোট একটা কালো টিপ পরলাম।
--কখন আসবে ও?? সন্ধ্যা হয়ে এলো তো। ঠিক সময় মতো এসে যাবে হয়তো আমি মিছেমিছি টেনসন করছি। নাহ আর ভালো লাহছেনা একটা ফোন করে দেখি।
(দা নাম্বার ইজ কারেক্টলি ডায়াল আনরিচিবল) ফোন টাও বন্ধ। বড্ড ছটফট লাগছে। ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখি ৮ টা বেজে গেছে।
-- মায়া রাসেল কোথায় একটু ফোন দিয়ে শোন তো ( রাসেলের মা)
--হ্যা
আম্মু শুনছি। এসে যাবে এক্ষুনি। আম্মু কে বলা যাবেনা টেনসন করবেন এমনিতেই
হার্ডের অসুখ। রাত ৯ টা তাও কোনো খোজ নেই ওর কিছু হয়নি তো।?? না না আমি কি
ভাবছি এগুলা।
হঠাৎ একটা ফোন এলো। একি রনি ফোন করেছে। ফোন টা রিসিভ করেই বলা শুরু করলাম
--হ্যালো রনি,, রাসেল কে দেখেছো ওতো তোমার সাথেই থাকে। কান্না করে বলে ফেললাম
--মায়া কান্না করোনা আসলে..
--আসলে কি হয়েছে বলো না??
-- পাশের হাসপাতালে চলে এসো
--অবাক হয়ে,, কেনো?? রাসেলের কি হয়েছে??
রনি কোনো উওর না দিয়ে ফোন কেটে দিলো।
--আম্মু তিন্নি ফোন করেছে এখুনি চলে আসবো ওর নাকি নোট দরকার এখোনি।
--তারাতারি ফিরিস।
--হ্যা আম্মু। বলেই দৌড়ে বেরিয়ে গেলাম।
হাসপাতালে গিয়ে দেখি রনি দারিয়ে আছে।
-- রনি রাসেল কোথায়??
-- ওই যে ওখানে।
দৌড়ে কেবিনে চলে গেলাম। গিয়েয় ওকে জরিয়ে ধরলাম।
--কি হয়েছে তোর কি করে হলো এসব??
--কান্না করিস না প্লিজ আহহহ।
--থাক তোর এখন কথা বলতে হবে না।
--সামান্য মাথায় চোট লেগেছে রে,,
--চুপ আর একটা কথা বলবিনা। কপালে একটা চুমু দিয়ে বল্লাম।
রনি দরজায় নক করলো, আসবো??
--হ্যা আসো রনি। তুমি ওর সাথে ছিলে??
--হ্যা মায়া। আমি আর রাসেল রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম তখোনি একটা কার এসে ধাক্কা মারে। আমি রাসেলের অপজিট এ ছিলাম তাই কিছু হয়নি।
-- আর কান্না করিস না পাগলি। আমার কিচ্ছু হয়নি দেখ। (রাসেল)
--মা ফোন করছে। হ্যলো মা বলো
-- ১০ টা বাজে তোদের কোনো খোজ নেই
--আমরা আসছি মা।
--তারাতারি আয়।
--হ্যা আম্মু।
আম্মু চিন্তা করছে। চল বাড়িতে।
--চল আহহহ।
--ইস! আমি তুলছি তো উল্লুক তুই একা ইঠছিস কেনো।
--শয়তান বউ আমার।
--কি বল্লি?? কই কিছু না তো।
আস্তে করে ওকে তুললাম। আমি আর রনি।
-- ঘারের দিকে মুখ নিয়ে,, চুলে কি দিস বলতো? এতো নেশা কেনো?? আস্তে করে বললাম
--চুপ করে থাকবি তুই। লজ্জা শরম বেচে খায়ছিস নাকি আমি আস্তে করে জবাব দিলাম। শয়তানি গেলো না বজ্জাত।
--বাড়িতে পৌছে দিয়েছি এখন আমি যায় (রনি)
-- সে কি?? খেয়ে তারপর যাবে। (মায়া)
--না মায়া আম্মু টেনসন করছে সকালে এসে দেখে যাবো।
--ঠিক আছে সাবধানে যেও।
কলিংবেল বাজাতেই মা দরজা খুলে দিলো।
--একি কি হয়েছে মাথায়?
--আসলে আম্মু পরে গিয়ে মাথায় একটু চোট পেয়েছিলাম এই যা। (মায়া)
-- মায়া ওকে রুমে নিয়ে শুইয়ে দে তারাতারি কান্না জরিতো কন্ঠে।
--মা কান্না কোরোনা প্লিজ। সামান্য ই লেগেছে। (রাসেল)
রুমে এসে মায়া আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিলো।
--এখন শুয়ে থাক আমি আম্মু কে খাইয়ে আসছি।
হাত টেনে ধরলাম মায়ার তাহলে একটা ঠোটে দিয়ে যা...
--ধ্যাৎ বজ্জাত শয়তান উল্লুক।
বলেই চলে গেলো মায়া।
--আম্মু খেয়ে নাও।
--না রে আজ আর খাবোনা,, কেমন যেনো অসস্তি লাগছে। তোরা খেয়ে নে
--ঔষুধ খেয়েছো??
--হ্যা খেয়েছিরে।
--ঘুমিয়ে পরো তাহলে।
আমি খাবার নিয়ে উপরো গেলাম। এই যে বজ্জাত উঠে খেয়ে নে। আমি খাইয়ে দিচ্ছি
--হাআআআ
--এতো বড়ো হা করেছিস যেনো আমাকেই গিলে খাবি। ওকে ঔষুধ খাইয়ে দিলাম।
--মায়া অনেক রাত তো হলো।
--হুম তুই ঘুমিয়ে পর।
--তুই কি করবি??
--নাচবো বলে। সুইচ ওফ করে দিলাম।
--আমার সাথে??
--ওই কোলবালিস কই??
--
কোলবালিস তাইনা?? বলেই ঠোটে ঠোট লাগালাম। মমায়া আর ছাড়ানোর চেষ্টা করলো
না। মায়াও আমাকে জরিয়ে ধরলো। ধিরে ধিরে দুজনে ভালোবাসার গভিরে হারিয়ে যেতে
লাগলাম।........
বেচে থাকুক ভালোবাসা হুলো এভাবেই।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
সমাপ্ত...
#বেস্টফ্রেন্ড_যখন_হাজবেন্ড
#শেষ_পর্ব
#রোমান্টিক_গল্প
0 Comments